HS Exam Rules 2024: পরীক্ষায় শূন্য পেলেও ফেল নয়! উচ্চ মাধ্যমিকের নতুন নিয়মে খুশি পড়ুয়ারা। জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা হল উচ্চমাধ্যমিক। আগে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হত। কিন্তু বর্তমানে সেসব আর নেই। কেবলমাত্র দ্বাদশ শ্রেণী পড়েই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। আর সেখানেও আবার এল নতুন নিয়ম। চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। যা ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল।
HS Exam Rules 2024
তবে, এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় সূচিতে আনা হয়েছিল বদল। প্রতি বছর দুপুর ১২ টা থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। তবে, এবার সেই পরীক্ষা সকাল ৯.৪৫ থেকে শুরু হয়েছিল। যার থেকে স্পষ্ট বলা যায় যে, প্রতিবারের থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ২ ঘন্টা ১৫ মিনিট পিছিয়েছে। এমনকি প্রতিবছর পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের কার্যকলাপে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পর্ষদকে। এবার সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েছিল পর্ষদ। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট বেরোনোর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। তবে, তার মাঝেই কি নতুন নিয়ম এল চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতে শুধু অবসর নয়! কি প্রজেক্ট হবে? জানাল শিক্ষা দপ্তর
নতুন কি নিয়ম এসেছে? (What new rules have come?)
নতুন নিয়মে জানা যাচ্ছে যে, চলতি বছর থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করেছে। এমনকি পড়াশোনার মান উন্নত করতে মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও কিছু বদল আসতে পারে। নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী এবার থেকে নাকি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী মিলিয়ে মোট ৪ টি সেমিস্টারে পড়ুয়াদের পরীক্ষা দিতে হবে। আর যারমধ্যে প্রথম ও তৃতীয় সেমিস্টারে পাশ-ফেল কোনো ব্যাপার নয়। মূলত এই দুটি সেমিস্টার মিলিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ৩০ শতাংশ নম্বর পেলেই চলবে।
নতুন নিয়ম নিয়ে শিক্ষকরা কি জানিয়েছেন? (What did the teachers say about the new rules?)
এই নতুন নিয়ম নিয়ম নিয়ে শিক্ষক মহলের একাংশ রীতিমতোন প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের বক্তব্য এই নতুন নিয়মের ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান ব্যাপকভাবে খারাপ হতে পারে।
এই বিষয়ে কি বলেছেন কিঙ্কর অধিকারী? (What did Kinker Adhikari say about this?)
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) এই নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে শিক্ষা অনুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন যে, প্রথম ও তৃতীয় সেমেস্টারে মাত্র ৩০ শতাংশ নম্বর পেলেই চলবে। অর্থাৎ ৩৫ ও ৪০-র মধ্যে একজন পড়ুয়াকে মাত্র ১০-১২ নম্বর পেতে হবে। এই নিয়মে একটি সেমেস্টারে শূন্য ও পরেরটিতে ৩০ পেয়ে পাশ করিয়ে দিলে ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক মূল্যায়ন করা যাবে না। আর তাইতো তিনি প্রতিটা সেমিস্টারে পাশ-ফেল রাখার দাবি জানিয়েছেন। তার এই কথাকে সমর্থনও করেছেন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল।
আরও পড়ুন: বয়সসীমা ১৮ থেকে ৪০, মাধ্যমিক পাশে রাজ্যের স্কুলে কর্মী নিয়োগ
সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য কি জানিয়েছেন? (What did Parliament President Chiranjeev Bhattacharya say?)
এই বিষয়ে তিনি বলেছেন যে, এখনও পর্যন্ত সেমেস্টার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। শুধু মাত্র অ্যাসেসমেন্ট ই-ভ্যালুয়েশন ক্রাইটেরিয়া আপলোড করা হয়নি। আর সেই কারণে বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। আর তাঁদের মত জানার পরই অবশেষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই সভাপতির বক্তব্য। এবার দেখার পালা আগামীদিনে কি হয়।