WB Teachers: যাচাই করতে হবে সমস্ত নথি! সিআইডিকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court)। আর তারফলে রাজ্যের কয়েক হাজার সরকারি শিক্ষকের (WB Teachers) কপালে যে দুর্ভোগ নামতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো চাকরি আর ভুয়ো কর্মীর অভাব নেই। এই সেই নিয়ে বহুবার সরগরম হয়েছিল রাজ্যরাজনীতি। তবে, এবার আরও একবার এই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা উঠেছে তুঙ্গে। এমনকি ভিন্ন তথ্য এসেছে প্রকাশ্যে।
সালটা ছিল ২০১৬। চাকরিপ্রাথী সোমা রায় অভিযোগ করেছিলেন যে, চাকরিতে থাকা বহু শিক্ষকই ভুয়ো। আর সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন, ২০১৬ সালের আগে রাজ্য সরকারি স্কুলে মাধ্যমিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত সকলের নথি যাচাই করে দেখতে হবে।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট ক্লার্ক/অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মী নিয়োগ, মাইনে শুরু ২৫,৫০০/-
বর্তমানে রাজ্যে ১ লাখ ৮৬ হাজার মাধ্যমিক শিক্ষক বহাল আছেন। তবে, হাই কোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন যে, সিআইডিকে ২০১১ সাল থেকে হওয়া সমস্ত জেলা পরিদর্শকের কাজ খতিয়ে দেখতে হবে। তবে, সিআইডি কি খতিয়ে দেখবে সেই প্রশ্ন উঠলে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, আদতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র দেখিয়েই কি শিক্ষকদের চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল না সেটাই খতিয়ে দেখতে হবে।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে অতিরিক্ত রেশন সঙ্গে মিলবে ৩ হাজার টাকা! কারা পাবেন? জানুন
ওদিকে এই সূত্র ধরেই উঠে আসে ভুয়ো শিক্ষকতার কথা। মুর্শিদাবাজের গোঠা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষ তিওয়ারিও নাকি ভুয়ো নথি দেখিয়ে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। পরে আশিস, অনিমেষ সহ বেশ কয়েকজনকে সিআইডি গ্রেফতার করেছিল। পরে বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের স্কুলেও ভুয়ো শিক্ষকের কথা জানা গিয়েছে। এবার শুধু দেখার পালা আগামীদিনে এই ঘটনা কোনদিকে মোড় নেয়।