WB Govt Employees HRA: হাতে মাত্র ১ মাস, আর তার মধ্যেই মেটাতে হবে HRA! তাও আবার সুদ সমেত। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এমনই এক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মূলত এক শিক্ষকের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছেন। এমনকি রাজ্যের দাবি খারিজ করে আদালত বলেছেন যে, একমাসের মধ্যে ওই শিক্ষককে ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ মিটিয়ে দিতে হবে। রীতিমতো বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয়েছে আদালত।
WB Govt Employees HRA
কিন্তু ঘটনাটি আসলে কি ঘটেছে জানেন কি? আসলে হুগলির একটি স্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হলেন সুপর্ণা দাস সরকার। তিনিই এই মামলাটি করেন। তার বক্তব্য অনুযায়ী ২০০৬ সাল থেকে তিনি স্কুলে চাকরি করছেন। আর তারপর থেকেই অন্যান্য রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মতোই তিনিও ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ পাচ্ছিলেন। যারফলে কোনোরকম সমস্যা হয়নি।
আরও পড়ুন: ভুলে যান UPI, ATM কার্ড! এবার হাতের তালু দেখালেই হয়ে যাবে পেমেন্ট
তবে, সমস্যার সূত্রপাত হয় ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে। কেননা, ওই শিক্ষিকার ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যারফলে ওই মহিলা শিক্ষা দপ্তরের দ্বারস্থ হয়। এমনকি তিনি রীতিমতো আবেদনও করেন যাতে তিনি পুনরায় অ্যালোওয়েন্সয়ের টাকা পান। যদিও তাতে কোনো কাজ হয়না। আর তারপরই ওই মহিলা মামলা করেন। সেই মামলায় জয়ী হন মহিলা।
কেননা, হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন যে, একমাসের মধ্যে ওই শিক্ষিকার টাকা ফেরত দিতে হবে। যদিও রাজ্য সরকারের আইনজীবি বলেন যে, কোন ক্ষেত্রে যদি স্বামী-স্ত্রী উভয়ই চাকরি করেন সেক্ষেত্রে ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ টাকা পাওয়া যায় না। আর এই নির্দেশিকা জারি হয়েছিল ২০১২ সালে। তবে, এই বিষয়ের শিক্ষকের আইনজীবি পাল্টা দাবি করে বলেন যে, যে নির্দেশিকা দেখিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবি ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বন্ধ করে দিয়েছেন সেটা এখন ভিত্তিহীন হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে জারি কড়া নির্দেশ, ভোট চলাকালীন সরকারি কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল
এরপর দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বসু বলেন যে, যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কেউ বেসরকারি চাকরি করেন তাহলে রাজ্য কোনোভাবেই সেই চাকরি করা পুরুষ অথবা মহিলার ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বন্ধ করতে পারবেন না। এটা পুরোপুরিভাবে আইন বিরোধী একটি কাজ। বরং বিচারপতি স্পষ্ট নির্দেশ দেন যে, একমাসের মধ্যে ওই শিক্ষিকার ‘হাউস রেন্ট অ্যালোওয়েন্স’ বাবদ বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে। এবার দেখার পালা আদালতের এই সিদ্ধান্ত কতটা কাজে আসে।